এরাজ্যে যখন সারদা নিয়ে গলা ফাটাচ্ছে বিজেপি তখন PACL নিয়ে তারা নীরব। সারদা কেলেঙ্কারি পর্দা ফাঁস হওয়ার আড়াই বছর পর সম্প্রতি গ্রেফতার করা হয়েছে PACL এর মালিক নিমর্ল সিং ভাঙ্গুকে। ততদিনে ভাঙ্গু সবটাকাই বিদেশে পাচার করে দিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। PACL আমানতকারীদের থেকে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা তোলার পর ২০১৪ সালের অগস্ট মাসে সুদ সমেত সেই টাকা আমানতকারীদের ফেরত দিতে PACL কে নির্দেশ দেয় সেবি। PACL কে আর টাকা তুলতেও নিষেধ করে সেবি। সেবির সেই আদেশে কান না দিয়ে তার পরও খোদ প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য গুজরাট থেকেও টাকা তোলে PACL। এর পর বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থাকে চিঠি লিখে নিজেদের দায় ঝেড়ে ফেলেছে সেবি। প্রশ্ন উঠছে সেবির গড়মশি নিয়েও। ফের সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে নিজেদের প্রতারণার কাজ চালিয়ে যাবার নয়া কৌশল নিল PACL।
রাজস্থান ও পাঞ্জাবে মূল কর্মকান্ড হলেও পিএসিএলের প্রতারণা চলেছে দিল্লি, মুম্বই সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে। বছর তিনেক আগে একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিকে পিএসিএলের প্রতারণার খবর প্রথম বিস্তারিতভাবে প্রকাশ পায়। তা থেকে জানা যায় পিএসিএল এত জমি কিনেছে বলে দাবি করেছে তা নাকি বেঙ্গালোর শহরের আয়তনের থেকেও বেশি।যদিও এর কোন রেজিস্ট্রেশন করানোর প্রমাণ নেই। ২০১০ সালে রাজস্থানে ভারত- পাক সীমান্তের কাছে প্রায় ১০ হাজার একর জমি, যার কোন ব্যবহারিক মূল্য নেই, তা পিএসিএল কেনে বলে জানা যায় ওই রিপোর্টে। তার পর ওই চিটফান্ডের পক্ষ থেকে সব সংবাদপত্রে পাতা জুড়ে বিজ্ঞাপন দেওয়ার পর সব চুপচাপ হয়ে যায়।তাই শুধু এরাজ্যে নয়, শুধু সারদা নয়, চিটফান্ডের জাল ছড়িয়ে রয়েছে দেশজুড়ে। রাঘববোয়ালরাও রয়েছে দেশজুড়ে।