কালনা থেকে শান্তিপুরে যাওয়ার পথে গঙ্গায় নৌকাডুবি হয় শনিবার রাতে। রবিবার রাত থেকেই ndrf এর উদ্ধারকারী দল উদ্ধার করছে একের পর এক মৃতদেহ। এখনও পর্যন্ত ২১জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। যদিও NDRF এর দল ফিরে গেছে। এখন উদ্ধার করছে স্থানীয় প্রশাসনই। উদ্ধার কাজে প্রশাসন দেরিতে নামায় রবিবারই রণক্ষেত্রে হয়ে ওঠে শান্তিপুর। অভিযোগ শনিবার রাতে নৌকাডুবি হলেও উদ্ধার কাজ শুরু হতে সময় নেয় প্রশাসন। নিখোঁজ বহু যাত্রী। তাছাড়া অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়ার কারণেই নাকি নৌকটি ডুবে যায়। আর এই বেআইনি অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়াতে নাকি পুলিসেরও মদত রয়েছে। এর জেরেই রবিবার সকাল থেকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় ঘাটে থাকা নৌকগুলিতেও। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে রবার বুলেট ছুড়তে হয় পুলিসকে। জনতার ছোড়া ইটের ঘায়ে জখম হন এক পুলিস কর্মীও। শুধু কালনা বা শান্তিপুরে নয়, গঙ্গার একাধিক ঘাটে যেভাবে যাত্রীরা নৌকায় যাওয়া আসা করেন তাতে যে কোন দিন ঘটে যেতে পারে আবারও দুর্ঘটনা।