সিপিআইএম কর্মী সলিল বসুর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে তাঁর দেহের ময়না তদন্তের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি।সলিল বসু সিপিআইএমের ডাকে নবান্ন অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন,সেদিন পুলিশ সলিলবাবুকে নির্দয় ভাবে লাঠি পেটা করেন বলে সিপিআইএমের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়।এমনকি তাঁর মাথাতেও আঘাত করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে।সেই আঘাতের কারণেই মাথায় রক্ত জমাট বাধাঁয় দিন কয়েক আগে সলিল বসুর মৃত্যু হয় বলে তাঁর পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়।কলকাতা পুলিশ এই অভিযোগ অস্বীকার করে এক বিবৃতি দেয়,তাতে তারা বলে সিপিআইএম দল উদ্দেশ্যপ্রনোদিত অভিযোগ করছে,ঐ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে ঘরের বাথরুমে পড়ে গিয়ে।ভত্তিহীন অভিযোগ তোলার অপরাধে সিপিআইএম দলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেয় কলকাতা পুলিশ।এর পরেই পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সলিল বসুর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে তদন্তের দাবি তুলে হাইকোর্টের দারস্থ হন সিপিআইএম দলের সদস্য ও দক্ষ আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য।বিকাশবাবু বিচারপতিকে জানান সলিল বসু তাঁর দেহ দান করে দেওয়ার অঙ্গীকার করে গেছিলেন তবে তাঁর মৃত্যুর কারণ নিয়ে চাপানউতোর শুরু হওয়ায় তাঁরা এখনও মৃত দেহ হস্তান্তর না করে মর্গে রেখে দিয়েছেন,ময়না তদন্ত হলে বোঝা যাবে কি কারণে মৃত্যু।এর পরই বিচারক জয়মাল্য বাগচি বলেন বিষয়টি গুরুতর,একজন মানুষের এমন মৃত্যু মর্মান্তিক,এক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা যাচাই হওয়া দরকার,তাই অবিলম্বে দেহের ময়না তদন্ত করা হোক।চারজন সরকারি ডাক্তার ও একজন উচ্চ প্রশাসনিক কর্তার উপস্থিতিতে ময়না তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারক।বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য তাঁর প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন বিচারকের বক্তব্যে পরিষ্কার পুলিশের দাবিকে তিনি গুরুত্ব দেন নি।তবে একই সঙ্গে তাঁরা যে ময়না তদন্ত যাতে প্রভাবিত না হয় সেদিকেও নজর রাখবেন তাও জানান।বিচারকের বার্তা যে কলকাতা পুলিশকে যথেষ্ট চাপে ফেলেছে তা তাঁদের প্রতিক্রিয়া না দিতে চাওয়া থেকেই পরিষ্কার।