গোরক্ষপুরে ৬৩ শিশুর প্রাণ বাঁচাতে তত্পরতা না দেখালেও নিজেদের দায় এড়াতে অন্যকে বলির পাঁঠা করতে মরিয়া আদিত্যনাথ সরকরা। যে চিকিত্সক নিজের পকেট থেকে টাকা দিয়ে অক্সিজেন কিনে শিশুদের প্রাণ বাঁচিয়েছেন সেই কাফিল খানের উপর খাড়া নামাল রাজ্য সরকার। রাতিরাতি তাকে বাবা রাঘব দাস মেডিক্যাল কলেজের এনসেফেলাইটিস ওয়ার্ড থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ তিনি প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতেন। সেদিন হাসপাতালে নাকি পর্যাপ্ত অক্সিজেন সিলিন্ডার থাকা সত্ত্বেও ওই চিকিত্সক বাইরে থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার আনিয়েছিলেন। সত্যি কি তাই? নাকি ধর্ম বিশ্বাসের কারণে রাজরোষে পড়তে হল তাকে? প্রশ্ন করছেন অনেকেই। উত্তরপ্রদেশের পূর্বাঞ্চলে গত কয়েক দশকে অন্তত ৩০ হাজার শিশুর মৃত্যু হয়েছে জাপানি এনসেফেলাইটিসে । গত বিধানসভা ভোটেও এটা একটা ইস্যু ছিল। সঠিক টিকাকরণ হলে যে রোগ অনেকাংশ প্রতিরোধ করা যেত তা করতে পারেনি আদিত্যনাথ সরকারও। শিশুর প্রাণের থেকে গোরক্ষা এদের কাজে জরুরি। আর তাই শিশু মৃত্যুর দায় ঝেডে় ফেলতে ও বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতেই এই পথে হাঁটতে চাইছে আদিত্যনাথ সরকার।