নানা পাটেকারের বিরুদ্ধে ১০ বছর অাগের একটি যৌন লাঞ্ছনার যে অভিযোগ তনুশ্রী দত্ত করছেন চার জেরে একের পর এক মি টু এর ঘটনা সামনে অাসতে শুরু করেছে। শিধু বিনোদন নয় বাদ যাচ্ছে না সংবাদ জগতও। যৌন লাঞ্চনার অভিযোগ ওঠায় ইতিমধ্যেই এইচটি এর রাজনৈতিক সম্পাদক প্রশান্ত ঝাকে পদ থেকে ইস্তফা দিতে হয়েছে। এবার মি টুতে নাম জড়াল বিজেপির সাংসদ তথা সাংবাদিক এমজে অাকবরের। এক মহিলা সাংবাদিক জানিয়েছেন ১৯৯৭ সালে এশিয়ান এজে কাজ করার সময় এমজে অাকবরের যৌন হেনস্তার শিকার হন তিনি। দিনের পর দিন অফিসের কেবনি কাজের ছুতোয় ডেকে কীভাবে তাঁকে যৌন হেনস্তা করা হতো তার বিস্তারিত বিবরণ লিখেছেন দ্য ওয়ের ওয়েবসাইটে সাংবাদিক গজালা ওয়াহাব।
শুধু গজালা ওয়াহাবই নন একাধিক মহিলা এমজে অাকবরের হাতে যৌন হেনস্তার শিকার। ১৯৯৫ সালে এশিয়ান এজে চাকরির ইন্টারভিউ নেওয়ার জন্য তাজ বেঙ্গলের হোটেল তাকে ডাকা হয় এক মহিলা চাকরি প্রার্থীকে। বিছানা বসে অাকবর তাঁর ইন্টারভিউ নেন। সন্ধের সময় মদ্যপানের জন্য তাঁকে অামন্ত্রণ করেন অাকবর। বিষযটি যথেষ্ট অস্বস্তিকর হওয়াতে তিনি সেই চাকরির অফার গ্রহণ করেননি বলে জানিয়েছেন ওই মহিলা সাংবাদিক। শুধু অাকবর নয় ছোট বড় সব সংবাদ সংস্থায় মহিলাদের অনেকের সঙ্গেই ঘটেছে এরকম যৌন হেনস্তার ঘটনা। অার এ রাজ্যের সব মিডিয়া হাউসেই কানপাতলে শোনা যায় এরকম অসংখ্য অভিযোগ। কাঠগড়ায় অাবার নামি দামি সাংবাদিকরা। চাকরি হারাবারর ভয়ে কেউ মুখ খলতে সাহস করেন না। এবার দেখার তনুশ্রী এদের ভাষা জোগাতে পারে কিনা?
সৌজন্যে দ্য ওয়ার