সাতদিন ডেস্কঃ দেশে করোনা অাক্রান্তের সংখ্যা বেশ দৈনিক ৮০ হাজার ছুঁইছুঁই। ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৬ হাজার। অাগের থেকে টেস্টের সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। তাই অাক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। কিন্তু সমস্যা হল মাস দুয়েক অাগে RTPCR( যা কিনা সবথেকে সঠিক) পদ্ধতিতে টেস্ট হত মোট টেস্টের ৯৮ শতাংশ। বর্তমানে তা কমে হয়েছে ৫০ শতাংশের মত। বাকিটা রাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট। ফলে অাক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। পজিটিভি রেটের সঙ্গে মিলছে না বাস্তব পরিস্থিতি।
অাইসিএমঅার এর ওয়েবসাইট অনুযায়ী দেশে প্রতিদিন করোনার টেস্ট ১০ লাখ ছাড়িয়েছে। তবে বর্তমানে এই সংখ্যক টেস্টের প্রায় ৪৬ শতাংশই হচ্ছে রাপিড টেস্ট। রাপিড টেস্টে ফলস অাসার সম্ভাবনা অনেক বেশি। যদি ফলস অাসে তাহলে অারটিপিসিঅার পদ্ধতিতে টেস্ট করার উচিত সন্দেহভাজন রোগীর। বাস্তবে তা করা হচ্ছে না। ফলে দেশে পজিটিভিটির হার কম দেখান হচ্ছে। মাস খানেক অাগে পজিটিভিটির হার ছিল ১০ শতাংশেরও বেশি এখন তা কমে ৭ থেকে ৮ শতাংশ বলে দাবি করছে সরকার বা ICMR। যা অাসলে বিভ্রান্তিমূলক।
রাপিড অ্যান্টিডেন টেস্ট সার্ভেলেন্সের জন্য কনটেনমেন্ট জোনে করার কথা বলে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। এটা কখনও ১০০ শতাংশ সঠিক নয়। বরং উল্টো। ভাইরাল লোড বেশি না থাকলে রেপিড টেস্টে করোনা অাক্রান্ত কি না তা ধরা পড়া কঠিন। তাই অারটিপিসিঅার এর পরিপূরক হিসাবে রাপিড টেস্টকে ব্যবহার করা হলে তা অাসলে পজিটিভ রোগীর সংখ্যা কমিয়ে দেখার কৌশল ছাড়া কিছু নয় বলে মনে করছেন চিকিত্সকদের একাংশ। অাক্রান্ত বা মৃতের সংখ্যা কমিয়ে দেখিয়ে সরকার পরিস্থিতি ভালভাবে নিয়ন্ত্রণ করার দাবি করতেই পারে তাতে বাস্তবটা বদলায় না। অার এরজন্য মূল্য চোকাতে হচ্ছে এদেশের নাগরিকদের। এর দায় সরকার এড়াতে পারে না।
ছবি প্রতিনিধিত্বমূলক